
আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন 'জ্যাকেট'এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব বেশি না। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করেনা, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হসপিটাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবেনা। সামান্য সর্দীতেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে।
ধরি, আমার দেহে এক লক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক। খেলাম আমি ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আমি সুস্থ হয়ে গেলাম। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেলো। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করলো নিজেরা নিজেরা।
তারা ভাবলো, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। অতএব আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকেনা এরা, বরং সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে এই ব্যাকটেরিয়া গুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়। এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা আর কাজ করেনা।
সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়া গুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকেনা। তিনি হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ঐ এন্টিবায়োটিক কাজ করেনা। যারা খুব নিয়ম করে ওষুধ খান তারাও বিপদে পড়ে যান সবার সাথে।
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কারা?

# প্রত্যেকেরই অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তবে যারা অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সংক্রমণের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে তারা হল ছোট শিশু, ক্যান্সার রোগী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা।
কিছু জীবাণু যা একসময় অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি খুব প্রতিক্রিয়াশীল ছিল তারা আরও বেশি প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। এটি আরও গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে, যেমন নিউমোকোকাল সংক্রমণ (নিউমোনিয়া, কানের সংক্রমণ, সাইনাস সংক্রমণ এবং মেনিনজাইটিস), ত্বকের সংক্রমণ এবং যক্ষ্মা এসব কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণী কি
কোন জীব বাঘ বা MRSA থেকেও খারাপ?

Enterobacteriaceae হল Klebsiella pneumoniae এবং E. coli সহ ৭০ টিরও বেশি ব্যাকটেরিয়ার একটি পরিবার যা সাধারণত পাচনতন্ত্রে বাস করে। যেকোন জীব এবং MRSA এর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক বলে বিবেচিত এরা।
অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেছিলেন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। ফ্লেমিং স্যার বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি লোক বেঁচে যাবে। অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবেনা। তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।''
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় "এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স''।
উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা। 'মেডিসিনের বাইবেল' নামে পরিচিত ডেভিডসের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের উল্লেখ আছে আলাদা করে। অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে, "This organism is registrant against this Drugs in Indian subcontinent'':
টিভি পত্রিকায় নানান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। বাথরুম করে হাত ধুতে হবে, কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে হবে, নিরাপদ পানি খেতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এন্টিবায়োটিক নিয়ে কোনো কিছু আজও চোখে পড়েনি। অথচ এটা অন্যগুলোর চেয়েও জরুরী। এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে এত সচেতনতা দিয়েও আর লাভ হবেনা।
আগুন নিয়ে খেলছে ফার্মেসিওয়ালারা -------------------------------------------------- রোগী ফার্মেসীতে গিয়ে একটু জ্বরের কথা বললেই ফার্মেসীতে বসে থাকা সেই লোকটি দিয়ে দিচ্ছে Azithromycin or Cefixime or Cefuroxime or Levofloxacin নামক কিছু নামকরা দামী এন্টিবায়োটিক, কিন্তুু কতো দিন খেতে হবে সেটা না জানিয়ে সুন্দর করে বলে দেয় এই ওষধটি ১ ডোজ খাবেন সব রোগ ভালো হয়ে যাবে আর এই ভাবেই আস্তে আস্তে Resistance হচ্ছে সব এন্টিবায়োটিক।
চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্টান্স!
পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণী হল ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট জীবাণু বা সুপারবাগ। কিন্তু কেন ও কিভাবে এটি এত শক্তিশালী জীবাণু হল।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ একটি জরুরী বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের হুমকি, বিশ্বব্যাপী কমপক্ষে ১.২৭ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছে এবং ২০১৯ সালে প্রায় ৫ মিলিয়ন মৃত্যুর সাথে যুক্ত, দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে।
মাল্টিড্রাগ-প্রতিরোধী গ্রাম-নেতিবাচক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রায়শই K. নিউমোনিয় স্ট্রেন দ্বারা সৃষ্ট হয়।
অ্যান্টিবায়োটিকগুলি বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ এবং অসুস্থতার জন্য কার্যকর চিকিত্সা প্রদান করে। দুর্ভাগ্যবশত, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ সংক্রমন জনিত বিভিন্ন রোগ চিকিত্সা করা আরও কঠিন করে তোলে।
a
ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয় হল সবচেয়ে প্রচলিত ব্যাকটেরিয়াগুলির মধ্যে একটি যা নোসোকোমিয়াল সংক্রমণ ঘটায়, বিশেষ করে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে।
ব্যাকটেরিয়া, মানুষ বা প্রাণী নয়, অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি মানুষ এবং প্রাণীদের সংক্রামিত করতে পারে, এবং অপ্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের তুলনায় তাদের দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের চিকিত্সা করা খুব কঠিন। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারণে উচ্চ চিকিৎসা খরচ, দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকা এবং মৃত্যুহার বৃদ্ধি পায়।
সুপারবাগ!
আপনার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া আছে কিনা তা কীভাবে বুঝবেন?

আপনার ডাক্তার ঘন ঘন অসুস্থতা বা সেপসিস সনাক্ত করতে রক্ত পরীক্ষার অনুরোধ করতে পারেন, একটি সংক্রমণের সম্ভাব্য জীবন-হুমকির জটিলতা।
একটি পরীক্ষাগারে বিশেষজ্ঞরা নমুনাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকের কাছে প্রকাশ করেন। যদি ব্যাকটেরিয়া ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে তারা ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী বলে মনে করা হয়।
সুপারবাগ হ'ল জীবাণু যা ওষুধ প্রতিরোধী । এই ড্রাগ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক চিকিত্সা করা খুবই কঠিন।
অ্যান্টিবায়োটিক হল ওষুধের একটি অত্যাবশ্যক শ্রেণি যা আমাদের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে। এসব ওষুধ হালকা মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে শুরু করে প্রাণঘাতী সেপসিস পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণের চিকিত্সা করে।
জীবাণুগুলো ধীরে ধীরে এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
পুরোপুরি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বন্ধ করার কোনও উপায় নেই, কারণ এটি জীবাণুর প্রাকৃতিক বিবর্তনের অংশ। তবুও, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ এড়ানোর জন্য চিকিত্সক এবং রোগী উভয়েরই পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।
এই গুরুতর হুমকি এখন ভবিষ্যতের জন্য কোন পূর্বাভাস নয়, এটি এখন বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে ঘটছে এবং যে কোনও দেশে, যে কোনও সময় মহামারী ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
যখন এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিত্সা করা লোকদের মধ্যে ঔষধ আর কাজ করে না , এটি বিরাট হুমকি।
2018 সালে, ডাব্লুএইচও বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসাবে বিবেচিত করেছে একে।
এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ কী
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের সংকট কতটা খারাপ?

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ঘটে যখন ব্যাকটেরিয়া পরিবর্তিত হয় এবং তাদের সৃষ্ট সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। যত বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, ব্যাকটেরিয়াগুলির প্রতিরোধের বিকাশের সম্ভাবনা তত বেশি। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর কমপক্ষে ৭০০,০০০ মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের কারণে মারা যায়।
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবেই ঘটে, কিন্তু মানুষ এবং প্রাণীদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করছে।
ক্রমবর্ধমান সংখ্যক সংক্রমণ - যেমন নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, গনোরিয়া এবং সালমোনেলোসিস - চিকিত্সা করা কঠিন হয়ে উঠছে কারণ তাদের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকগুলি কম কার্যকর হয়ে উঠছে৷
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের ফলে হাসপাতালে বেশি সময় থাকা, উচ্চ চিকিৎসা খরচ এবং মৃত্যুহার বেড়ে যায়।
উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধগুলির সহজলভ্যতার কারণে বিশ্বব্যাপী অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল প্রতিরোধের ঘটনার বৃদ্ধি ঘটছে। অনুমান করা হয় যে প্রতি বছর ৭ লক্ষ থেকে কয়েক মিলিয়ন রুগীদের মৃত্যুর ফলাফল এই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর কমপক্ষে ২.৮ মিলিয়ন মানুষ ব্যাকটিরিয়ায় সংক্রামিত হয় যা অ্যান্টি বায়োটিক প্রতিরোধী এবং কমপক্ষে ৩৫,০০০ মানুষ মারা যায় এর ফলে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সুপার বাগে বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যা হবে দশ কোটির মতো যা মহামারীর পর্যায়ে পড়ে।
ব্যাকটেরিয়া কিভাবে প্রতিরোধ গড়ে?
মিউটেশন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে, ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু ব্যাকটেরিয়া জৈব রাসায়নিক "পাম্প" তৈরি করেছে যা একটি অ্যান্টিবায়োটিক তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অপসারণ করতে পারে, অন্যরা অ্যান্টিবায়োটিক নিষ্ক্রিয় করার জন্য এনজাইম তৈরি করতে বিবর্তিত হয়েছে।
যখন কোনও ব্যক্তি শরীরের কোন সিস্টেমে কোনও জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের ফলে তা সংক্রামক জীবাণুকে আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করে। কিন্তু যখন সেই জীবাণু পুরোপুরি ধ্বংস হবার আগে ঔষুধ বন্ধ করে দেয়া হয় তখন তারা তাদের ডিএনএতে রূপান্তরগুলির মাধ্যমে পরিবেশের প্রতিক্রিয়ার সাথেও খাপ খায়। তখন এটি তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
এই প্রতিরোধী ব্যাকটিরিয়াগুলি এমন সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে যা একই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি দিয়ে চিকিত্সা করা আর সম্ভব হয় না।
কোনও ব্যক্তির একটি সংক্রমণ হতে পারে যা প্রাথমিক অ্যান্টিবায়োটিকের পক্ষে ভাল প্রতিক্রিয়া দেয় না। তারপরে ডাক্তার অন্যরকম অ্যান্টিবায়োটিক চেষ্টা করতে পারেন। এই দ্বিতীয় চিকিত্সা থেকে বেঁচে থাকা যে কোনও ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে এটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
এই চক্রটি চলতে থাকায় জীবাণুর অভিযোজন করার ক্ষমতা এটিকে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক চিকিত্সা থেকে বাঁচতে দেয় এবং এটি একটি সুপারবগ হয়ে যায়।
এছাড়াও, কিছু জীবাণুতে ফিনোটাইপিক প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে যার অর্থ তারা জিনগত পরিবর্তন ছাড়াই নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী।
এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব⁉️▶️
সূত্র, হু, সিডিসি
মন্তব্যসমূহ